নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাড়ি নির্মাণ ও একটি ডোবা ভরাটের কাজে চাঁদা না দেওয়ার হামলার শিকার হয়েছেন কুমিল্লা আদালতের এক শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও তার বিদেশ ফেরত ছোট ভাই।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খারেরা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত শিক্ষানবীশ আইনজীবী মো. ইমরান মিয়া চৌধুরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিক্ষানবীশ আইনজীবী কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কুমিল্লা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন স্বপনের সাথে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করছেন। আর অপর আহত সামাদ চৌধুরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সামাদ চৌধুরী গত ৫ মার্চ দুবাই থেকে দেশে এসে তার বড় ভাই সহ মিলে বাড়ি নির্মাণ ও ক্রয় করা একটি ডোবা ভরাটের কাজ শুরু করেছিলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামে মৃত মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ছেলে ইমরান মিয়া চৌধুরী নিজ বাড়িতে বিদেশ ফেরত তার ছোট ভাই সামাদসহ ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছেন এবং একই সাথে বাড়ির পাশে কেনা একটি ডোবাও ভরাট করছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই একই গ্রামের ও প্রতিবেশি আবদুল আজিজ ও তার লোকজন নির্মাণ কাজে ও ডোবা ভরাটে বাধা সৃষ্টি করছেন। তারা চাঁদা দাবী করেছিলেন। কিন্তু ইমরান মিয়া চৌধুরী ও সামাদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথম থেকেই তারা মারধরের হুমকি দিতে থাকেন।
গত রবিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে আবদুল আজিজ, রাব্বী ও শুভসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক ডোবা ভরাটের কাজে ফের বাধা দিয়ে ইমরান চৌধুরীকে লাঠিপেটা ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও পিঠে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় ইমরানকে বাঁচাতে তার বিদেশ ফেরত ছোট ভাই সামাদ এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। কুলসমু ও জান্নাত নামে দুই নারীও হামলায় অংশ নেয়। আহতদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা চলে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিক্ষানবীশ আইনজীবী ইমরান মিয়া চৌধুরীকে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান আহত শিক্ষানবীশ আইনজীবী ইমরান মিয়া চৌধুরীর পরিবার।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page